সভ্যতাগত বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে ইউরোপ- এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। সদ্য প্রকাশিত ৩৩ পৃষ্ঠার ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্রেটেজি নথিতে বলা হয়েছে, বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০ বছরের কম সময়ের মধ্যেই ইউরোপকে আর চেনা যাবে না।
আমেরিকাকে মানব ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে ধরে রাখার রোডম্যাপ হিসেবে এই নথিতে দাবি করেছেন ট্রাম্প। এতে ইউরোপের জাতীয় পরিচয় হারানো, কম জন্মহার, রাজনৈতিক বিরোধ দমন ও ব্যাপক অভিবাসনকে মূল সংকট হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি বলা হয়, ইউরোপের কিছু দেশ ভবিষ্যতে বিশ্বস্ত মিত্র হিসেবে টিকে থাকতে পারবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
নথিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাকে রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব খর্ব করার অভিযোগও তোলা হয়েছে। এর বিপরীতে দেশপ্রেমিক ইউরোপীয় দলগুলোর উত্থানকে প্রশংসা করে বলা হয়, আমেরিকা এ ধরনের রাজনৈতিক শক্তিকে সমর্থন করে।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ওয়াডেফুল প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তাদের দেশ বাইরের কোনো নির্দেশনা চায় না এবং এসব মন্তব্য ন্যাটোর নিরাপত্তা আলোচনার সঙ্গে সম্পর্কহীন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে নথিতে বলা হয়েছে, ইউরোপ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ব্যবস্থাপনায় আত্মবিশ্বাসহীন, এদিকে পরিস্থিতি শান্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা অপরিহার্য। ট্রাম্প প্রশাসনের যুদ্ধ সমাধানের প্রস্তাব ঘিরে বিতর্ক অব্যাহত থাকলেও হোয়াইট হাউস বলছে, পশ্চিমা বিশ্বকে রক্ষা করা এখন তাদের মূল অগ্রাধিকার।