Ridge Bangla

সচিবালয়ে সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ, কার্যকর হচ্ছে নতুন নিয়ম

বাংলাদেশ সচিবালয়কে সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক (এসইউপি) মুক্ত করার উদ্যোগ আগামী ২ অক্টোবর থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। পরিবেশবান্ধব সচিবালয় গড়ে তোলার লক্ষ্যে ওই দিন থেকে সচিবালয়ের সব প্রবেশপথে প্লাস্টিকজাত সামগ্রী বহনকারীদের শনাক্ত করতে বিশেষ চেকিং চালু করা হবে। দর্শনার্থীদের পাঠানো ওটিপি বার্তায়ও এ সংক্রান্ত নির্দেশনা যুক্ত থাকবে।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মীদের প্লাস্টিকের ক্ষতিকর দিক এবং বিকল্প ব্যবহারের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি ভবন, প্রবেশদ্বার ও লিফটের সামনে প্লাস্টিকবিরোধী স্লোগানসমৃদ্ধ ব্যানার ও স্টিকার টানানো হবে।

একই দিন থেকে সচিবালয়ের বিপণি বিতান ও ক্যান্টিনগুলোতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতল, কাপ, প্লেট ও চামচের ব্যবহার বন্ধ হবে। এর বদলে কাপড় বা পাটজাত ব্যাগ এবং পরিবেশবান্ধব বিকল্প সামগ্রী ব্যবহারে উৎসাহিত করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে একজন ফোকাল পারসন নিয়োগ এবং একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে। এসব কমিটি সচিবালয় প্লাস্টিকমুক্তকরণ কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করবে। কেবল সচিবালয় নয়, সচিবালয়ের বাইরে থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতেও একই নিয়ম কার্যকর হবে। মাসিক সমন্বয় সভার এজেন্ডায় বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ অধিশাখা-১ কর্তৃক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে ইতোমধ্যেই আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়েছে।

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক সহজে পচে না এবং তা মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতির কারণ। তাই সচিবালয়কে প্লাস্টিকমুক্ত করার এই কর্মসূচি বাংলাদেশকে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

সরকার মনে করছে, সচিবালয়ভিত্তিক এই উদ্যোগ সফল হলে তা দেশের জন্য এক অনুকরণীয় উদাহরণ হয়ে উঠবে। এজন্য সবাইকে এ কর্মসূচিতে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে: ১৮

আরো পড়ুন