রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। পরে ঘটনাকে কেন্দ্র করে জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স ‘মার্চ টু জাতীয় পার্টি অফিস’ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
সংগঠনটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে বলা হয়, “মার্চ টু জাতীয় পার্টি অফিস।” এ ঘোষণার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
অপরদিকে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সংঘর্ষের পরপরই তারা দাবি করেন, জাতীয় পার্টিকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং সংঘর্ষে আহতদের দায় নিতে হবে। তাদের অভিযোগ, জাতীয় পার্টি গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত এবং এর সুষ্ঠু বিচার না হলে ছাত্র-শ্রমিক-জনতা রাস্তায় নেমে বিচার করবে।
এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়।
ঘটনার পর থেকে কাকরাইল এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে থাকলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বিরাজ করছে।