মানিকগঞ্জে এক তরুণীকে জোর করে মদ খাইয়ে ধর্ষণ এবং পরে তার অশ্লীল ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ উঠেছে তার দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে এসেছে ছত্তার মিয়া (৪০) এবং তার স্ত্রী রুনা আক্তার (৩০)-এর। ছত্তার মিয়া ভুক্তভোগীর দুলাভাই এবং রুনা তার বড় বোন।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ২৫ নভেম্বর ছত্তার মিয়া ফোন করে জানান তার স্ত্রী গর্ভবতী এবং এই উপলক্ষে ভুক্তভোগীকে তাদের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান। তিনি সে অনুযায়ী বোনজামাইয়ের বাড়িতে যান। এরপর গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে ছত্তার, রুনা এবং ছত্তারের আরেক স্ত্রী সোনিয়া মিলে তাকে জোর করে মদ পান করান, যার ফলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
পরদিন সকালে জ্ঞান ফিরে এসে তরুণী নিজেকে ছত্তার মিয়ার পাশে অস্বাভাবিক অবস্থায় আবিষ্কার করেন। শরীরের পোশাক এলোমেলো থাকায় তিনি বুঝতে পারেন, নিজের অজান্তে তার সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটেছে।
পরবর্তীতে জানা যায়, ছত্তার মিয়া মোবাইলে তার ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ধারণ করেছেন এবং তা অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন।
সর্বশেষ ১৮ জুন (বুধবার) রাত ৮টার দিকে ‘কাঠ গোলাপ’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ভুক্তভোগীর কিছু ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যার পরপরই তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আমান উল্লাহ বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি।”