সাংবাদিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিগগিরই ‘সাংবাদিক সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।
তিনি বলেন, “এই আইনের অন্তত ১৮টি খসড়া সংস্করণ আমি পেয়েছি। সেগুলো পর্যালোচনা করে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করেছি।”
রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) কর্তৃক আয়োজিত ‘গণমাধ্যমে স্ব-নিয়ন্ত্রণ ও অভিযোগ : রাজনৈতিক ও নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক সংলাপে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা তুলে ধরেন তিনি।
গণমাধ্যম সংস্কারের প্রসঙ্গে মাহফুজ আলম জানান, সংস্কারের অংশ হিসেবে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে একীভূত করে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে কর্মীদের সমন্বয় ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের চাপের কারণে এ উদ্যোগে জটিলতা দেখা দেয়।
তিনি আরও বলেন, “বিজ্ঞাপনের হার বৃদ্ধির ফলে মিডিয়া হাউস মালিকরা লাভবান হলেও সাংবাদিকরা আসলেই কী সুবিধা পাচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। মালিকদের কাছে এর স্পষ্ট উত্তর নেই।”
তথ্য উপদেষ্টা দাবি করেন, তার দায়িত্বকালে কোনো মিডিয়া হাউস বন্ধ হয়নি। তবে এই সময়ে প্রায় ৭২ থেকে ৭৫ জন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন। এ সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক এস এম শামীম রেজা
- বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল
- জি-৯ এর সাধারণ সম্পাদক ড. শাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত
- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী মহাসচিব এবং মিডিয়া ও প্রচার দলের প্রধান অ্যাডভোকেট আহসানুল মাহবুব জুবায়ের
- বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ কাফি রতন