২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি হয়। সে সময় বিদেশে অবস্থান করায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের নাম ভোটার তালিকায় ওঠেনি। ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তারা লন্ডন যান এবং সেখানেই দীর্ঘ ১৭ বছর প্রবাসজীবন কাটান।
সম্প্রতি চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যুক্ত হয়ে ডা. জুবাইদা রহমান ভোটার হয়েছেন। তবে এখনো ভোটার হননি তারেক রহমান। যদিও নির্বাচন কমিশন (ইসি) লন্ডন, বার্মিংহাম ও ম্যানচেস্টারে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করার কার্যক্রম চালাচ্ছে, তবু এই সুযোগ নেননি তিনি।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ভোটার হতে হলে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে সরাসরি উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষর, আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ স্ক্যান দিতে হয়। লন্ডনেও এ নিয়মই প্রযোজ্য। কিন্তু তারেক রহমান এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আবেদন জমা দেননি।
নির্বাচন কমিশনের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘তারেক রহমান চাইলে লন্ডন থেকেই ভোটার হতে পারতেন। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন, দেশে ফিরেই ভোটার হতে চান।’
তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরেই নানা আলোচনা রয়েছে। এবার তার পক্ষ থেকে দেশে ফিরে ভোটার হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশের খবরে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে—তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন? সেই উত্তর এখনও অজানা থাকলেও, তাঁর ভোটার হওয়ার সিদ্ধান্ত ঘিরে রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে।