চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হবে আগামী রোববার। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
এ দিন ফল প্রকাশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা কীভাবে তা দেখতে পারবেন, সেই নির্দেশনাও দিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস. এম. কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন যেসব পরীক্ষার্থী পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছিলেন, তারা রোববার সকাল ১০টা থেকে ফলাফল দেখতে পারবেন। ফলাফল প্রকাশিত হবে বোর্ডের ওয়েবসাইটে (www.dhakaeducationboard.gov.bd)। শিক্ষার্থীরা রোল নম্বর ব্যবহার করে অনলাইনে তাদের ফলাফল জানতে পারবেন।
এর আগে ১১ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হয়। টেলিটক মোবাইল অপারেটরের নির্ধারিত পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা প্রতি বিষয়ে ১৫০ টাকা ফি দিয়ে আবেদন করেন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবার রেকর্ডসংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে—মোট ৯২ হাজার ৮৬৩ জন শিক্ষার্থী ২ লাখ ২৩ হাজার ৬৬৪টি খাতার পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছেন। গত বছরের তুলনায় আবেদনকারী বেড়েছে প্রায় ২১ হাজার এবং চ্যালেঞ্জ হওয়া খাতার সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪০ হাজার।
পুনঃনিরীক্ষণের জন্য সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে গণিত বিষয়ে—মোট ৪২ হাজার ৯৩৬টি খাতায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আবেদন এসেছে ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে, প্রতিটিতে ১৯ হাজার ৬৮৮টি করে। পদার্থবিজ্ঞানে আবেদন পড়েছে ১৬ হাজার ২৩৩টি খাতায়, আর বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে ১৩ হাজার ৫৫৮টি। অন্যদিকে সবচেয়ে কম মাত্র ৬টি খাতায় আবেদন পড়েছে চারু ও কারুকলা বিষয়ে।
উল্লেখ্য, ‘পুনঃনিরীক্ষণ’ বলতে খাতা নতুন করে মূল্যায়ন বোঝায় না। এ প্রক্রিয়ায় শুধু উত্তরপত্রে প্রাপ্ত নম্বর সঠিকভাবে যোগ হয়েছে কি না, কোনো প্রশ্নের নম্বর বাদ পড়েছে কি না, ওএমআর শিটে নম্বর সঠিকভাবে উঠেছে কি না বা ভুলভাবে বৃত্ত ভরাট হয়েছে কি না—এসব বিষয় যাচাই করা হয়। প্রযোজ্য হলে সংশোধিত নম্বর যুক্ত করে ফলাফল পরিবর্তন করা হয়।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, সারাদেশের ৯টি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ৬ লাখ ৬৬০ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। এর মধ্যে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭১৬ জন ছাত্র এবং ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪৪ জন ছাত্রী।