Ridge Bangla

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের প্রথম ইউনিটে করা হলো ‘কোল্ড অ্যান্ড হট’ টেস্ট

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে টার্বাইনে বাষ্প সরবরাহকারী পাইপলাইনের ‘হট’ ও ‘কোল্ড’ পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের কমিশনিং কার্যক্রমের এই গুরুত্বপূর্ণ ধাপের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, পাইপলাইনগুলো নিরাপদ ও কার্যকরভাবে বাষ্প সরবরাহ করতে সক্ষম।

পরীক্ষার অংশ হিসেবে পাইপলাইনে বাষ্পের সাহায্যে ব্লো-ডাউন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। এতে দুই মেগাপ্যাস্কেল চাপ এবং ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বাষ্প ব্যবহার করা হয়, যা নকশাগত চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারিত। এই প্রক্রিয়ায় পাইপলাইনে থাকা ক্ষুদ্র ময়লা, ধুলো-কণা ও আর্দ্রতা সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার করা হয়।

বাষ্প সরাসরি বায়ুমণ্ডলে নির্গত হওয়ায় উচ্চ মাত্রার শব্দ সৃষ্টি হয়েছিল, যা আগে থেকেই অনুমান করা হয়েছিল। এজন্য পরীক্ষা শুরুর আগে স্থানীয় বাসিন্দাদের অবহিত করা হয়। প্রথম ধাপের সাফল্যের পর পরবর্তী ধাপে অধিক বাষ্প ব্যবহার করে বাস্তব লোডের কাছাকাছি অবস্থায় যন্ত্রপাতির কর্মক্ষমতা পরীক্ষা করা হবে।

এতমস্ত্রয়এক্সপোর্টের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলেক্সি ডেইরী বলেন, “এই ধাপ সম্পন্ন হওয়া মানে প্রথম ইউনিট চালু এবং জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার পথে বড় অগ্রগতি।” তিনি উল্লেখ করেন, সর্বাধুনিক রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টরভিত্তিক এই ইউনিট কয়েক দশক ধরে পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে, যা দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ মেটাবে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। রুশ আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় দুটি ইউনিট নির্মাণ করা হচ্ছে, প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত রসাটমের প্রকৌশল শাখা জেনারেল কন্ট্রাক্টর হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর আগে ‘হট’ ও ‘কোল্ড’ টেস্ট বাধ্যতামূলক, যা টার্বাইন ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা, নির্ভরযোগ্যতা ও নকশা অনুযায়ী কার্যকারিতা নিশ্চিত করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধাপ সফলভাবে শেষ হওয়ায় রূপপুর প্রকল্পের প্রথম ইউনিট নির্ধারিত সময়ে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।

আরো পড়ুন