দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকিতে পড়েছে ইউরোপের অন্যতম শক্তিধর দেশ পোল্যান্ড। রাশিয়ার তৈরি শাহেদ ধরনের অন্তত ১৯টি ড্রোন বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে পোল্যান্ডের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। এ ঘটনায় ন্যাটো উন্নতমানের যুদ্ধবিমান মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানানো হয়।
এ বিষয়ে পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই প্রথমবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা এত বড় পরীক্ষার মুখে পড়ল। তবে ড্রোন হামলা ঠেকাতে ন্যাটোর উচ্চমূল্যের যুদ্ধবিমান ব্যবহারকে দেশটির এক শীর্ষ জেনারেল “মাছি মারতে কামান দাগানোর মতো” পরিস্থিতি বলে উল্লেখ করেছেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়ারোস্লাও গ্রোমাদজিনস্কি জানান, এই আক্রমণ ছিল সমন্বিত। এটি ছিল একসঙ্গে সামরিক ও তথ্যযুদ্ধ। ঘটনাটি ন্যাটোর নিম্ন-উচ্চতার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা স্পষ্ট করে দিয়েছে। তুলনামূলক সস্তা মানবহীন ড্রোন ঠেকাতে ব্যয়বহুল ফাইটার জেট ব্যবহার করতে হওয়ায় জোটের সামরিক কৌশল নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সীমান্তে এমন অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকলে তা সরাসরি ন্যাটো-রাশিয়া সংঘাতের ঝুঁকি ডেকে আনতে পারে, যা ইউরোপীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।