রুয়ান্ডা ও কঙ্গোর প্রতিনিধিরা একটি ঐতিহাসিক খসড়া শান্তিচুক্তিতে পৌঁছেছেন, যা পূর্ব কঙ্গোর তিন দশকের সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন এই সমঝোতায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নিরস্ত্রীকরণ, বিচ্ছিন্নকরণ এবং শর্তসাপেক্ষে একীভূত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
চুক্তির খসড়ায় ভবিষ্যতে সংঘর্ষ ঠেকাতে একটি যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থারও কথা বলা হয়েছে। এই চুক্তি আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
চলতি বছরের এপ্রিলেই রুয়ান্ডা ও কঙ্গো একটি প্রাথমিক সমঝোতায় পৌঁছায়, যার আওতায় উভয় দেশ একে অপরের সার্বভৌমত্ব স্বীকারে সম্মত হয়।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, শান্তিচুক্তির অনেক বিষয় এখনও অস্পষ্ট। বিশেষ করে খনিজসম্পদে সমৃদ্ধ পূর্ব কঙ্গোর ওপর এম টুয়েন্টি থ্রি বিদ্রোহীদের দখল ও প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। কঙ্গো সরকার অভিযোগ করেছে, রুয়ান্ডা এ গোষ্ঠীকে সমর্থন দিচ্ছে, যদিও রুয়ান্ডা তা অস্বীকার করেছে।
দীর্ঘ এই সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। চুক্তিটি সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে এই অঞ্চল শুধু শান্তিই ফিরে পাবে না, বরং নতুন করে পশ্চিমা বিনিয়োগের সুযোগও সৃষ্টি হবে। তবে অতীতের ব্যর্থ উদাহরণ বিবেচনায় রেখে অনেকেই সতর্ক দৃষ্টিতে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন।