চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মিত্রতার বন্ধন আরও দৃঢ় করছে পিয়ংইয়ং। ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা তথ্যের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে উত্তর কোরিয়া নতুন করে আরও ২৫ থেকে ৩০ হাজার সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই বিশাল সংখ্যক সেনা রাশিয়ায় পৌঁছাতে পারে।
এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে উত্তর কোরিয়া প্রায় ১১ হাজার সেনা রাশিয়ায় পাঠিয়েছিল, যারা কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর অগ্রযাত্রা ঠেকাতে রুশ সেনাদের সহায়তা করেছিল।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় উত্তর কোরীয় সেনাদের “প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, অস্ত্র ও গোলাবারুদ” সরবরাহ করতে সক্ষম এবং তাদের রুশ যুদ্ধ ইউনিটে একীভূত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে আরও বলা হয়েছে, উত্তর কোরীয় সেনারা রুশ অধিকৃত ইউক্রেনের কিছু অঞ্চলে সরাসরি লড়াইয়ে অংশ নিতে পারে, বিশেষ করে বড় আকারের আক্রমণাত্মক অভিযানে রুশ বাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, রাশিয়ান সামরিক বিমানগুলোতে সৈন্য পরিবহনের জন্য পরিবর্তন আনা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়া থেকে রাশিয়ার সুদূর সাইবেরিয়া হয়ে এই সেনাবাহিনীকে আনা-নেওয়ার বড় পরিকল্পনার ইঙ্গিত মিলেছে। উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে রাশিয়ার সঙ্গে একটি সীমান্ত রয়েছে।
এছাড়া, গত ১৭ জুন পিয়ংইয়ং সফরে গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানিয়েছিলেন, উত্তর কোরিয়া শিগগিরই ১ হাজার মাইন অপসারণকারী এবং ৫ হাজার সামরিক নির্মাণ শ্রমিক পাঠাবে, যারা কুরস্ক অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে সহায়তা করবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, উত্তর কোরিয়া ইতিমধ্যেই সেনা নির্বাচনের কাজ শুরু করেছে এবং জুলাই বা আগস্টে তাদের পাঠানো হতে পারে।
জাতিসংঘের ১১টি দেশের যৌথ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালেই পিয়ংইয়ং মস্কোকে অন্তত ১০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ৯০ লাখ আর্টিলারি শেল সরবরাহ করেছে।