রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বহুদিন ধরেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ন্যায্য সুবিধার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সমঅধিকার ও সুবিধা না পাওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ। অবশেষে আলোচনায় কোনো সমাধান না আসায় বাধ্য হয়ে কঠোর সিদ্ধান্তে যেতে হয়েছে। শাটডাউনের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম, পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ এবং পরিবহন সেবা চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
মোক্তার হোসেন বলেন, “আমরা এ সিদ্ধান্তে হতাশ। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে সুবিধা ভোগ করেন, তা আমাদের দেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই শাটডাউনের কর্মসূচি দিতে হয়েছে।”
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাধারণ কর্মচারীরা শাটডাউন কর্মসূচির প্রভাবে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচলাবস্থা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারা দ্রুত সমস্যার সমাধান ও সমঝোতার মাধ্যমে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার দাবি জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে সমাধান না হলে দীর্ঘমেয়াদি অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে, যা শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণায় ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।