বাংলাদেশের ক্রিকেট তারকা ও সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান মনে করেন, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত তার জন্য ভুল ছিল না। সম্প্রতি এক ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব জানিয়েছেন, যদি আবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তবে মাগুরার মানুষ তাকে আবারো নির্বাচিত করবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
২০২৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাকিব। তখন থেকেই তিনি ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া অভ্যুত্থানের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। তার বিরুদ্ধে দায়ের হয় হত্যা মামলা, ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ, এবং এরপর থেকেই তিনি আর দেশে ফিরতে পারেননি।
সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, “রাজনীতিতে যোগ দেওয়া যদি আমার জন্য ভুল হয়, তবে অন্য কারো জন্যও তা হওয়া উচিত। এটি তো নাগরিকের অধিকার। আমি মাগুরার মানুষের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম। তারা আমাকে সেই সুযোগ দিয়েছিল।” তিনি আরও বলেন, “পরিবর্তন আনতে চাইলে সিস্টেমের ভেতরে থেকে কাজ করতে হয়। বাইরে থেকে চাইলেই পরিবর্তন আনা যায় না। যারা দেশ চালান, তাদের মধ্যে থেকেই কাজ করতে হবে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে আত্মবিশ্বাসের সুরে সাকিব বলেন, “আমার এলাকায় সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, আবার দাঁড়ালেও আমিই জিতব। আমার ব্যর্থতা আমি মেনে নিয়েছি, কিন্তু মানুষের আস্থা আজও আমার প্রতি আছে।”
তার ১৮ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ার অনেক গৌরবময় হলেও, মাত্র ছয় মাসের রাজনৈতিক যাত্রায় তিনি নানা বিতর্ক ও জটিলতার মুখোমুখি হন। বিশেষ করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তার নিরব ভূমিকা এবং কিছু বিতর্কিত বক্তব্য তার অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে।