বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে স্বাগত জানিয়ে রমনার বটমূলে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জয়গানে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। এবারের আয়োজনে মূল বার্তা ছিল— “আমার মুক্তি আলোয় আলোয়”।
আলো, প্রকৃতি, মানুষ ও দেশপ্রেমের গান দিয়ে সাজানো হয় পুরো অনুষ্ঠান। এবার মোট ২৪টি পরিবেশনা হয়, যার মধ্যে ৯টি সম্মেলক গান, ১২টি একক কণ্ঠের গান এবং ৩টি আবৃত্তি পরিবেশিত হয়েছে। নববর্ষ উপলক্ষে কথন পাঠ করেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।
বরাবরের মতো এবারের আয়োজনেও শিল্পীদের পোশাকে ছিল পরিকল্পিত ঐক্যতান। পুরুষ শিল্পীরা পরেছিলেন মেরুন রঙের পাঞ্জাবি ও সাদা পায়জামা এবং নারী শিল্পীরা পরেছিলেন মেরুন পাড়ের অফ হোয়াইট শাড়ি। মঞ্চের রঙও ছিল শিল্পীদের পোশাকের সঙ্গে মানানসই— এবারের রঙ ছিল মেরুন ভিত্তিক। উল্লেখ্য, প্রতিবছর মঞ্চের আকৃতি একই থাকে, কেবল পোশাকের রঙের সঙ্গে মিল রেখে রঙের সামান্য পরিবর্তন করা হয়। গতবারের রঙ ছিল হালকা সবুজ।
ছায়ানট ১৯৬৭ সালে প্রথম এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু করে। এরপর একমাত্র ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাড়া, প্রতি বছরই রমনার বটমূলে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই আয়োজন। ২০০১ সালে অনুষ্ঠানে জঙ্গি হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছিলেন, তবুও ছায়ানট কখনো এই ঐতিহ্য থেকে সরে আসেনি। এমনকি করোনাকালেও অনলাইনে অনুষ্ঠান আয়োজন করে তারা এই সংস্কৃতি ধরে রেখেছে। গত বছর রমজান মাসের কারণে অনুষ্ঠানটি ছিল সীমিত পরিসরে। এবার দীর্ঘদিন পর পুরো পরিপূর্ণতা নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো বর্ষবরণ।