Ridge Bangla

যুক্তরাষ্ট্রের মেধাস্বত্ব পেল বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের ‘বঙ্গভ্যাক্স’

বাংলাদেশের গবেষণা ও ওষুধ শিল্পে এক ঐতিহাসিক অর্জন করেছে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি তাদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী রিবোনিউক্লিক অ্যাসিড (mRNA) ভিত্তিক টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’-এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মেধাস্বত্ব অধিদপ্তর থেকে পেটেন্ট লাভ করেছে। এটিই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছরের ইতিহাসে ওষুধশিল্পে প্রথম মেধাস্বত্ব অর্জনের ঘটনা।

রোববার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় গ্লোব বায়োটেক।

গ্লোব বায়োটেক জানায়, করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিশ্বব্যাপী মানুষ যখন দিশেহারা, তখন জাতীয় প্রয়োজনে গবেষণা শুরু করে তারা। বিজ্ঞানী কাকন নাগ ও নাজনীন সুলতানার তত্ত্বাবধানে তৈরি হয় কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিট, ওষুধ এবং টিকা। এই গবেষণার ফলেই আবিষ্কৃত হয় বিশ্বের প্রথম এক ডোজের কার্যকর এমআরএনএ টিকা বঙ্গভ্যাক্স।

২০২০ সালে টিকাটির সম্পূর্ণ কোডিং সিকোয়েন্স প্রকাশিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের এনসিবিআই ডেটাবেসে। পরে এর গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিকেল জার্নাল ভ্যাকসিন এবং সায়েন্টিফিক রিপোর্টস-এ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও একই বছরে এটিকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

গ্লোব বায়োটেক সূত্র জানায়, বানরের ওপর পরিচালিত ট্রায়ালে বঙ্গভ্যাক্স নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি ছিল প্রাণীর ওপর পরিচালিত প্রথম ভ্যাকসিন ট্রায়াল।

গ্লোব বায়োটেকের মতে, পেটেন্টের এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। দেশীয়ভাবে টিকা উৎপাদন হলে কম খরচে জনগণকে সাশ্রয়ী ও কার্যকর ভ্যাকসিন সরবরাহ সম্ভব হবে।

একই সঙ্গে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। এ অর্জনকে বাংলাদেশের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের অগ্রযাত্রায় নতুন মাত্রা হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে: ১৯

আরো পড়ুন