কুমিল্লার মুরাদনগরে আলোচিত ধর্ষণকাণ্ডে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ ও তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে চার যুবককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। রোববার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় তাদের কুমিল্লা জেলা জজ আদালতে হাজির করা হলে ১১ নম্বর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুমিনুল হক জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত পরিদর্শক সোহেল সাদেক জানিয়েছেন, চারজনকে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন—মুরাদনগরের পাচকিত্তা বাহেরচর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে মো. সুমন, জাফর আলীর ছেলে রমজান আলী, আলম মিয়ার ছেলে মো. আরিফ এবং তালেম হোসেনের ছেলে মো. অনিক।
অন্যদিকে, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয় ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে। গ্রেপ্তারের সময় সে আহত থাকায় বর্তমানে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুস্থ হওয়ার পর তাকেও আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী নারীর পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর জেলায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান জানান, ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর গুরুত্বসহকারে তদন্ত পরিচালনা করা হয় এবং অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।