মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) হানা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে দুদকের দুই সহকারী পরিচালক আল আমিন ও মাহমুদুল হাসান বিসিবি কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রায় এক ঘণ্টার অভিযান পরিচালনা করেন।
দুদক সূত্র জানায়, ২০২০-২১ সালের মুজিব ১০০ প্রোগ্রামের নামে খরচ দেখানো হয়েছে ২৫ কোটি টাকা, অথচ প্রকৃত ব্যয় ছিল মাত্র ৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় ১৯ কোটি টাকার হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া কনসার্টের টিকিট বিক্রি বাবদ পাওয়া দুই কোটি টাকাও আয় হিসেবে দেখানো হয়নি।
দুদকের কর্মকর্তারা আরও বলেন, বিপিএল টুর্নামেন্টেও টিকিট বিক্রির অর্থে রয়েছে অস্বাভাবিক গড়মিল। আট আসরে মোট আয় দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি টাকা, অথচ শুধুমাত্র শেষ আসরেই দেখানো হয়েছে ১৩ কোটি টাকার আয়। অর্থাৎ আর্থিক অসঙ্গতির বিষয়টি স্পষ্ট।
তারা আরও জানান, তৃতীয় বিভাগের দল নির্বাচনের ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আগে ফি বেশি থাকায় দল সংখ্যা কম থাকলেও এবার ফি কমানোর ফলে হঠাৎ ৬০টি ক্লাব আবেদন করেছে। এতে ব্যক্তিগত প্রভাব কিংবা বোর্ডের ভূমিকাও তদন্তাধীন রয়েছে। এছাড়া তৃতীয় বিভাগ বাছাই পর্বে অংশগ্রহণের জন্য নির্ধারিত শর্তগুলোও অনেক পাড়া-মহল্লার দল পূরণ করতে পারেনি, বিষয়টি নিয়েও অনুসন্ধান চলছে।
দুদক জানিয়েছে, সব অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বিসিবির বিভিন্ন ক্রিকেট লিগের বাছাই প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট টিম পাঠানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “দুদকের অনুসন্ধানে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। আমরা আইন মেনে কাজ করি, তাই কিছু গড়মিল থাকলে তা নিরসনেও আমরা আন্তরিক।”