Ridge Bangla

মিয়ানমারে জান্তার নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা বিদ্রোহী গোষ্ঠীর

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর জারি করা জরুরি অবস্থা গত জুলাইয়ের শেষের দিকে তুলে নেয় সামরিক জান্তা সরকার। ওই সময় ঘোষণা দেওয়া হয়, আগামী ডিসেম্বরে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি সোমবার (১১ আগস্ট) তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এই জাতীয় নির্বাচন ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছে।

আরাকান আর্মি ছাড়াও অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থী আইনপ্রণেতা এবং জান্তাবিরোধী বিভিন্ন গোষ্ঠী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ এই নির্বাচনের সমালোচনা করে একে ‘প্রতারণা’ আখ্যা দিয়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন যে এটি জান্তার শাসন টিকিয়ে রাখার কৌশল।

সংঘাত পর্যবেক্ষকরা জানাচ্ছেন, রাখাইনের ১৭টি শহরের মধ্যে অন্তত ১৪টি বর্তমানে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। গোষ্ঠীটির মুখপাত্র খাইং থু খা বলেছেন, “জনসমর্থনবিহীন নির্বাচন জনগণের কোনো উপকারে আসবে না, বরং তাদের বিভ্রান্ত করবে। সামরিক জান্তার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নির্বাচন হতে পারে, কিন্তু আমাদের এলাকায় তা হতে দেওয়া হবে না।” তিনি আরও বলেন, “রাখাইনবাসী নির্বাচনে আগ্রহী নন।”

মিয়ানমার সরকারের তথ্যমতে, দেশটির মোট ৫ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ২৫ লাখ রাখাইনে বসবাস করেন, যা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা। আরাকান আর্মি ও জান্তার মধ্যে প্রাথমিকভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি থাকলেও ২০২৩ সালের শেষের দিকে তা ভেস্তে যায়। পরবর্তীতে অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোও আরাকান আর্মির সঙ্গে জান্তাবিরোধী লড়াইয়ে যুক্ত হয়। এই সংঘাতে সামরিক বাহিনী একের পর এক এলাকা হারায় এবং প্রতিশোধ হিসেবে রাখাইনে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়।

জান্তা সরকার জানিয়েছে, স্থিতিশীলতা, শান্তি ও আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে তারা রাজ্যের ১৪টি শহরে স্থানীয়ভাবে জরুরি অবস্থা জারি রেখেছে।

আরো পড়ুন