Ridge Bangla

মানসিক সংকটে চীনা তারকা ঝাও লুসি, প্রতারণার শিকার হয়ে লিখলেন, ‘আমি শেষ’

চীনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঝাও লুসি এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া সাম্প্রতিক একটি আবেগঘন পোস্টে নিজের মানসিক সংকট এবং প্রতারণার শিকার হওয়ার ঘটনা প্রকাশ করেছেন। তার এই সাহসী স্বীকারোক্তি চীনের বিনোদন অঙ্গন ও অনলাইনে তীব্র আলোড়ন তুলেছে।

ঝাও লিখেছেন, দীর্ঘদিন ধরে বিষণ্নতা ও উদ্বেগে ভুগছেন তিনি। এর মাঝেই নিজের ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘গ্যালাক্সি কুয়ু মিডিয়া’র বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তোলেন। তার দাবি, নানা অজুহাতে প্রতিষ্ঠানটি তার স্টুডিও থেকে সাড়ে ২০ লাখ ইউয়ান হাতিয়ে নিয়েছে। তার অনুমতি ছাড়াই দীর্ঘমেয়াদি এক চুক্তিতে সই করিয়ে নেওয়া হয়, যার ফলে তিনি স্টুডিও নিয়ন্ত্রণও হারান। বর্তমানে স্টুডিওর অধিকাংশ সদস্য প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে গেছেন বলেও জানান তিনি।

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ঝাও জানতে পারেন, তিনি গুরুতর মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন। চিকিৎসকের পরামর্শে কাজের চাপ কমাতে বেশ কিছু শো ও ব্র্যান্ড চুক্তি বাতিল করেন তিনি। তবুও সহানুভূতির বদলে পুরো চাপটাই তাকে নিতে হয় বলে অভিযোগ করেন ঝাও।

২০২৫ সালের ১৬ জুলাই করা মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তার উদ্বেগ স্কোর ধরা পড়ে ৭৩, যা ‘গভীর উদ্বেগ’-এর পর্যায়ে পড়ে। পোস্টের সঙ্গে তিনি চিকিৎসা রিপোর্টও সংযুক্ত করেন এবং লেখেন, “আমার ভেতরটা পচে গেছে। আমি শেষ।”

সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হলো, চুক্তি বাতিলের চেষ্টা করতেই ঝাওকে হুমকি দেওয়া হয়—মুখ খুললে তাকে বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি থেকে ব্ল্যাকলিস্টেড করা হবে।

ঝাও তার ভক্তদের উদ্দেশে লেখেন, “প্রতারণার শিকার হলে চুপ থাকবেন না। পুলিশের কাছে যান।” এই সাহসী বার্তার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় #JusticeForZhaoLusi হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ডিংয়ে উঠে আসে। হাজারো ভক্ত তার পাশে দাঁড়িয়ে চুক্তি বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন এবং বলছেন, তার এই স্বীকারোক্তি অন্য অনেককেও মুখ খোলার সাহস জোগাবে।

অনেকেই লিখেছেন, বাহ্যিক চাকচিক্যের আড়ালে তারকাদের জীবনে কতটা অন্ধকার লুকিয়ে থাকে—ঝাও লুসির পোস্ট সেটিই আরও একবার মনে করিয়ে দিল।

আরো পড়ুন