Ridge Bangla

‘মাদক’ মামলায় উদ্ধার ১০ লাখের হেরোইন ‘গায়েব’, ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত

ঢাকার মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মাদক মামলার এজাহার পাল্টে একই নম্বরে ছিনতাই মামলা রেকর্ড এবং উদ্ধার হওয়া ১০ লাখ টাকার হেরোইন গায়েব করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী ইফতেখার হাসানসহ একাধিক কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তদন্তকারী সংস্থা।

সূত্র জানায়, মে মাসের শুরুর দিকে রাজধানীর জেনেভা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে পুলিশ সাদ্দাম নামের এক যুবককে ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ আটক করে। পরে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হলেও তাকে পূর্বের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। বিস্ময়করভাবে, মূল মাদক মামলার নম্বরেই পরে আরেকটি ছিনতাই মামলা রেকর্ড করা হয়, যাতে আসামি করা হয় মামুন হোসেন নামে এক ভিন্ন ব্যক্তিকে।

তদন্তে আরও উঠে এসেছে, মূল এজাহারে ১০ গ্রাম হেরোইনের উল্লেখ থাকলেও, বাকি ৯০ গ্রাম হেরোইনের হদিস নেই—এ নিয়েই তৈরি হয়েছে বড় ধরনের বিভ্রান্তি ও অভিযোগ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বিষয়টি জানার পরপরই তদন্ত শুরু করেছে। তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান জানান, “একজন অতিরিক্ত উপকমিশনারকে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।” একই সঙ্গে, ডিএমপি সদর দপ্তর থেকেও একটি পৃথক অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের ডেপুটি কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

মূল এজাহার অনুযায়ী, ৬ মে রাতে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলাটি রেকর্ড করেন এসআই শাখাওয়াত হোসেন, যিনি বর্তমানে বরিশালে কর্মরত। তবে তিনি জানান, “আমি কোনো মাদক উদ্ধার করিনি, এমনকি কোনো এজাহার বা জব্দ তালিকাও তৈরি করিনি। কে বা কারা আমার নাম ব্যবহার করে এসব করেছে, তা আমি জানি না।”

এদিকে, ছিনতাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাজু আহমেদ বলেন, “ওসি আমাকে কেবল দায়িত্ব দেন এবং নিয়মিত অগ্রগতি জানাতে বলেন। বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি।”

ওসি আলী ইফতেখার হাসানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। দোষী প্রমাণিত হলে কেউই দায় এড়াতে পারবে না।”

আরো পড়ুন