উত্তর আমেরিকার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির প্রথম সপ্তাহান্তেই আলোড়ন তুলেছে ‘আ মাইনক্রাফ্ট মুভি’। বক্স অফিস বিশ্লেষকদের তথ্য অনুযায়ী, ছবিটি প্রথম তিন দিনে প্রায় ১৫৭ মিলিয়ন ডলারের টিকিট বিক্রি করেছে, যা চলতি বছরের সবচেয়ে বড় উদ্বোধনী আয়ের রেকর্ড।
ওয়ার্নার ব্রাদার্স এবং লেজেন্ডারি পিকচার্সের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই ভিডিও গেম-ভিত্তিক ছবিতে অভিনয় করেছেন জ্যাক ব্ল্যাক, জেসন মোমোয়া এবং জেনিফার কুলিজ। মুভিটি মুক্তির আগেই প্রত্যাশা জাগিয়েছিল, তবে মুক্তির পর তা ছাড়িয়ে গিয়ে অনেকে একে বছরটির সবচেয়ে চমকপ্রদ সিনেমা হিসেবে দেখছেন।
বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির আয় এরইমধ্যে ৩০১ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে আয় প্রায় ১৪৪ মিলিয়ন ডলার। বিশ্লেষকরা বলছেন, ১৫০ মিলিয়ন ডলারের নির্মাণ ব্যয়ে নির্মিত এই ছবির এমন সাফল্যের পেছনে রয়েছে ‘মাইনক্রাফ্ট’ গেমটির দীর্ঘদিনের জনপ্রিয়তা। গেমটির ৩০০ মিলিয়নেরও বেশি কপি বিশ্বজুড়ে বিক্রি হয়েছে।
বক্স অফিস বিশ্লেষক ডেভিড এ. গ্রস জানান, বছরের শুরুতে হলগুলোতে দর্শক টান কম থাকলেও এই সিনেমা আবারও দর্শকদের হলমুখী করেছে। তার ভাষায়, “এই ধরনের ছবি সমালোচকদের জন্য নয়, তৈরি হয় দর্শকদের জন্য। আর দর্শকেরাই এটিকে গ্রহণ করেছে।”
মুক্তির প্রথম সপ্তাহে অন্যান্য সিনেমাগুলোর আয় তুলনামূলকভাবে অনেক কম। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অ্যাকশন থ্রিলার ‘আ ওয়ার্কিং ম্যান’, যার আয় মাত্র ৭ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার। তৃতীয় স্থানে ‘দ্য চোজেন: লাস্ট সাপার পার্ট ২’ (৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন), চতুর্থ স্থানে ডিজনির ‘স্নো হোয়াইট’ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে ‘দ্য ওম্যান ইন দ্য ইয়ার্ড’।
সিনেমাটির এই সফল যাত্রা বিশেষজ্ঞদের মতে, গেম থেকে সিনেমায় রূপান্তরের একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।