পাকিস্তানের সোয়াত অঞ্চলে চালানো এক যৌথ অভিযানে ‘ভারত-সমর্থিত’ জঙ্গিগোষ্ঠী ‘ফিতনা আল-খারিজ’-এর তিন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের পুলিশ ও কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি)। অভিযানে নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু, যার মাথার মূল্য ঘোষণা করা হয়েছিল ২০ লাখ রুপি।
দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে আজমল ওরফে ওয়াকাস অন্যতম, যিনি গ্রাম প্রতিরক্ষা পরিষদের সদস্যদের হত্যা, নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার মতো ঘটনায় জড়িত ছিলেন। তিনি পাকিস্তানের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিলেন। অন্য দুই নিহত হলেন মতিউল্লাহ (ছদ্মনাম ইসহাক/জুনায়েদ) এবং রহিমুল্লাহ রেহমানি (ছদ্মনাম রোহুল্লাহ)।
সোয়াত ও আশপাশের এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই এই গোষ্ঠীর সক্রিয়তা নিয়ে উদ্বেগ ছিল। অভিযানে সিটিডি ও সোয়াত পুলিশ যৌথভাবে অংশ নেয় এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের পুলিশ মহাপরিদর্শক জুলফিকার হামিদ অভিযানের প্রশংসা করে বলেন, “প্রদেশে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ ধরনের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করা হবে।”
এদিকে আঞ্চলিক পুলিশ কর্মকর্তা শের আকবর খান বলেন, এই অভিযানে ‘ফিতনা আল-খারিজ’ গোষ্ঠীর কার্যক্রমে বড় ধাক্কা দেওয়া হয়েছে এবং তারা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ ঘটনায় পাকিস্তান পুনরায় ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। যদিও ভারত এ ধরনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। তবে সাম্প্রতিক এই অভিযান দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।