বন্যা, ভূমিধস ও পাহাড়ি ঢলে বিপর্যস্ত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। দেশটির উত্তরাখণ্ডে ব্যাপক বৃষ্টির পর আকস্মিক বন্যায় ভেসে গেছে একটি পুরো গ্রাম। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া নয় ভারতীয় সেনাসহ নিখোঁজ রয়েছেন ১৫০ জনেরও বেশি।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) উত্তরাখণ্ডের হারসিলে আঘাত হানে আকস্মিক বন্যা। এরপর সেখানকার সেনাক্যাম্পে থাকা ৯ সেনা নিখোঁজ হন। মেঘভাঙা বৃষ্টি (ক্লাউডব্রাস্ট) হয় উত্তরাখণ্ডের ধারাইল গ্রামে, যা হারসিলের সেনাক্যাম্প থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে।
ধারাইল গ্রামটিতে রয়েছে গাংগ্রোতিতে যাওয়ার রাস্তা। সেখানে অনেক হোটেল ও রেস্তোরাঁও রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ক্ষীর গঙ্গা নদীর জলাধার এলাকায় ক্লাউডব্রাস্টের ফলে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়, যা সামনে যা কিছু ছিল তা ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর ১৫০ জন সদস্য উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছে। তারা আটকা পড়া গ্রামবাসীদের উদ্ধার ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান শুরু করেছে। তবে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। খারাপ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা যায়নি।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। বুধবার রাজ্যের পরিস্থিতি, উদ্ধারকাজসহ নানা বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি উত্তরাখণ্ডের কয়েকজন সাংসদের সঙ্গেও বৈঠক করেন এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেঘভাঙা বৃষ্টি (ক্লাউডব্রাস্ট) হলো ভারতীয় হিমালয়ের অন্যতম বিধ্বংসী প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি সীমিত এলাকায় বিপুল বৃষ্টিপাত ঘটায়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমালয় অঞ্চলে এই ধরনের চরম আবহাওয়ার ঘটনা বাড়ছে।