আজ রোববার (৬ জুলাই) ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরো শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বহুল আলোচিত ব্রিকস-এর ১৭তম বার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনে অংশ নিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা ইতোমধ্যে ব্রাজিলে পৌঁছেছেন। তবে এবার ব্যতিক্রম হয়েছে চীন ও রাশিয়ার পক্ষ থেকে—এই দুই পরাশক্তির রাষ্ট্রপ্রধানেরা সরাসরি অংশ নিচ্ছেন না, বরং প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে তাদের পক্ষে।
বিশ্বব্যাপী এই সিদ্ধান্ত বেশ চর্চার জন্ম দিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, চীন ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের অনুপস্থিতি ব্রিকস-এর সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। কেউ কেউ মনে করছেন, সম্প্রসারিত ব্রিকস কাঠামোর প্রতি দুই দেশের আগ্রহ কিছুটা কমে গেছে। যদিও চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ব্যস্ততার কারণে সম্মেলনে যোগ দিতে পারছেন না।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সমন্বয়ে ব্রিকস গঠন করা হয়। পরবর্তী সময়ে মিসর, সৌদি আরব, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইন্দোনেশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশ এই জোটে যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে ১০টি দেশ কৌশলগত অংশীদার হিসেবে ব্রিকসের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
এবারের সম্মেলনে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ইস্যুর পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতিও আলোচনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠবে বলে জানা গেছে। ব্রিকস সদস্যদের মধ্যে নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য সহজীকরণ, মার্কিন ডলার নির্ভরতা কমানো এবং ভূরাজনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়েও আলোচনা হবে।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কাঠামোয় ভারসাম্য আনতে এবং উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর অবস্থান শক্ত করতে ব্রিকস এক বিকল্প প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তবে এবারের সম্মেলনে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ঐক্য ও প্রতিশ্রুতি কতটা দৃঢ় থাকবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।