বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দায়ের হওয়া মামলায় মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত ৩৫ জনকে দায়মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যেই তাদের অব্যাহতির জন্য অন্তর্বর্তী তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠিয়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩ ধারায় সর্বমোট ৩৫ জনের অব্যাহতির প্রস্তাব আদালতে দাখিল করা হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা জেলার ৪ জন, রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ৮ জন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৪ জন, গাজীপুর জেলার ১ জন এবং কুড়িগ্রাম জেলার ১৮ জন আসামি রয়েছেন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম আরও জানান, এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং আরও ১১৬ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের পর্যায়ে আছে। এর মধ্যে ডিএমপিতে ১০৩ জন, গাজীপুরে ১ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ জন এবং ঢাকা জেলায় ৯ জনের বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিলের প্রস্তুতি চলছে।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় অসংখ্য মানুষকে হয়রানিমূলকভাবে আসামি করা হয়েছিল। সেসব মামলার প্রকৃত তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না, তাদের দায় থেকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। সরকারি সূত্র বলছে, আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে দায়ের হওয়া সব মামলা পর্যালোচনা করে প্রকৃত দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করা এবং নিরপরাধদের আইনি ঝামেলা থেকে মুক্তি দেওয়াই সরকারের লক্ষ্য।