দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির পাইলটিং কার্যক্রম (পরীক্ষামূলক) চলতি সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রধান শিক্ষকদের জন্য তথ্য ইনপুটের সফটওয়্যার প্রস্তুত করা হয়েছে এবং আজই তা উন্মুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
মাউশির একটি সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে দেশের নয়টি অঞ্চলের পাঁচটি ক্যাটাগরির ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহের পর সফটওয়্যারে কোনো ত্রুটি না থাকলে তা দেশের সব স্কুল-কলেজের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
মাউশির উপপরিচালক (মাধ্যমিক) বলেন, “বদলি কার্যক্রম শুরুর জন্য আমাদের সফটওয়্যার পুরোপুরি প্রস্তুত। আমরা প্রথমে পাইলটিং আকারে চালু করব এবং অনলাইনে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে তথ্য ইনপুটের কাজ শুরু করব।”
তিনি আরও জানান, পাইলটিংয়ের মাধ্যমে সফটওয়্যারের কার্যকারিতা যাচাই করা হবে এবং কোনো সমস্যা থাকলে তা সংশোধন করা হবে। সফল হলে সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হবে।
বদলির নতুন নীতিমালা অনুসারে, কেবল বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরাই বদলির সুযোগ পাবেন। সফটওয়্যারটির মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠানে কী পদ খালি আছে তা জানা যাবে এবং সেই তথ্য যাচাই করে বদলির আবেদন কার্যকর হবে।
প্রতিষ্ঠানপ্রধান তথ্য ইনপুট করবেন, যা উপজেলা শিক্ষা অফিস যাচাই করে ফরোয়ার্ড করবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। জেলা পর্যায়ে চূড়ান্ত যাচাইয়ের পর তা মাউশিতে যাবে। আঞ্চলিক কার্যালয়কে এ প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পূর্বে শিক্ষকরা গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পেতেন। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক বিরোধিতার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার বদলি চালুর উদ্যোগ নেয় এবং একটি নীতিমালাও প্রণয়ন করে। এবার সেই প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএ সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বদলির সুযোগ মিলছে।