বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম আরও এক দফা কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শুল্ক পুনর্বহালের শঙ্কা এবং ওপেক প্লাস (OPEC+) জোটের সম্ভাব্য উৎপাদন বৃদ্ধির আভাস বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। পাশাপাশি চীনে দুর্বল চাহিদা ও যুক্তরাষ্ট্রে তেলের মজুত বেড়ে যাওয়ার তথ্যও মূল্যহ্রাসের কারণ হিসেবে কাজ করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) লন্ডনের বাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৮ সেন্ট বা ০.৮ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৬৮.৫৩ ডলারে। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৭ সেন্ট কমে নেমে আসে ৬৬.৮৮ ডলারে।
দামের এই পতনের পেছনে দুটি প্রধান কারণ উঠে এসেছে। প্রথমত, আগামী ৯ জুলাইয়ের পর যুক্তরাষ্ট্র উচ্চ শুল্ক পুনর্বহাল করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। দ্বিতীয়ত, ওপেক প্লাস দৈনিক আরও ৪ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল উৎপাদন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যা বাজারে সরবরাহ বাড়িয়ে দেবে। তবে চাহিদা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল আমদানিকারক দেশ চীনের পরিষেবা খাতের প্রবৃদ্ধি গত ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। জুন মাসে নতুন রপ্তানি আদেশেও বড় ধস দেখা গেছে।
মার্কিন জ্বালানি তথ্য সংস্থা জানিয়েছে, দেশটিতে তেলের মজুত ৩.৮ মিলিয়ন ব্যারেল বেড়ে হয়েছে ৪১৯ মিলিয়ন ব্যারেল, যেখানে বিশ্লেষকেরা আশা করেছিলেন মজুত কমবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার প্রতিবেদন প্রকাশের পর ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সুদের হার কমলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হতে পারে, যার ফলে ভবিষ্যতে তেলের চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।