হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা পুলিশ বিদেশে অবস্থানরত ১৯ জন গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় চীনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ২০১৯ সালের দীর্ঘ গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সময় হংকংয়ে একটি গণতান্ত্রিক পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা, গণভোট আয়োজন, এবং তথাকথিত ‘ছায়া সংসদে’ প্রার্থীতা। চীনা কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের কর্মকাণ্ড হংকং ও মূল ভূখণ্ড চীনের সরকারের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার চেষ্টা।
পরোয়ানার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ী এলমার ইউয়েন, ভাষ্যকার ভিক্টর হো, কর্মী জনি ফোক এবং টনি চোই—যাদের বিরুদ্ধে আগেও পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। এই চারজনকে ধরিয়ে দিতে পুলিশ ১০ লক্ষ হংকং ডলার করে পুরস্কার ঘোষণা করেছে। বাকি ১৫ জন আন্দোলনকারীর জন্য পুরস্কার ধরা হয়েছে ২ লক্ষ হংকং ডলার করে।
বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, এটি চীনের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমনের উদাহরণ। জবাবে চীনা কর্তৃপক্ষ ব্রিটেনকে “ঔপনিবেশিক মানসিকতা ত্যাগ” করার আহ্বান জানায় এবং হংকংয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার কথা বলে।
হংকং সরকার বলেছে, জাতীয় নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে হংকংয়ের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা হবে এবং কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়—এমনকি যদি তারা বিদেশে পালিয়ে থাকেন।