Ridge Bangla

বিদেশি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ‘অপ্রচলিত মাদকসহ’ গ্রেপ্তার হওয়ার ৩১ ঘণ্টা পর জামিনে মুক্তি, সংশ্লিষ্টরা বিস্মিত

বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর গুলশান থেকে আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সদস্য সন্দেহে মো. তরিকুল ইসলাম (৩৭) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। তবে গ্রেফতার হওয়ার মাত্র ৩১ ঘণ্টার মধ্যে আদালত থেকে তার জামিন পাওয়ার ঘটনা ডিএনসির কর্মকর্তাদের বিস্মিত করেছে।

ডিএনসি সূত্র জানায়, গত সোমবার সকালে গুলশান থেকে তরিকুলকে গ্রেপ্তারের পর তার গ্রিন রোডের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখানে অভিযানে উজ্জ্বল মিয়া (৩৫) নামে আরও একজনকে আটক করার পাশাপাশি প্রায় দেড় লাখ ট্রামাডল বড়ি উদ্ধার করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তাদের দাবি, এই বড়িগুলো ভারতসহ বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করে বিদেশে পাচার করতেন তরিকুল। এমনকি তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করতেন বলেও উল্লেখ রয়েছে মামলার এজাহারে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) কলাবাগান থানায় মামলার পর দুজনকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। তবে শুনানি শুরুর অল্প সময়ের মধ্যেই আদালত তাদের জামিন দেন। ডিএনসির আইনজীবী নজরুল ইসলাম জানান, উদ্ধার হওয়া বড়িগুলো রাসায়নিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আদালত আসামিদের জামিন দিয়েছেন। পরীক্ষার প্রতিবেদনে এগুলো মাদক প্রমাণিত হলে পুনরায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিএনসির কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণত মাদক মামলায় প্রথম দিনেই জামিন পাওয়া বিরল ঘটনা। এ কারণে তরিকুলের এত দ্রুত জামিন মঞ্জুর হওয়ায় তারা হতবাক। তাদের ধারণা, আসামির পরিবারের একজন বিচার বিভাগে কর্মরত থাকায় প্রভাব খাটানো হয়ে থাকতে পারে। উল্লেখ্য, আইন অনুযায়ী ট্রামাডল ‘খ’ শ্রেণির মাদক হিসেবে তালিকাভুক্ত এবং এ ধরনের মাদক রাখলে ১ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে:

আরো পড়ুন