মহান বিজয় দিবস–২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। ১৬ ডিসেম্বর ভোরে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
দিবসটিকে ঘিরে সরকারি, আধাসরকারি ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও আলোকসজ্জা করা হবে, তবে ১৪ ডিসেম্বর রাতে আলোকসজ্জা বন্ধ থাকবে। রাজধানীসহ দেশের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো ব্যানার, পতাকা ও রঙিন ফেস্টুনে সাজানো হবে।
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং করে বিশ্বরেকর্ড গড়ার চেষ্টা করবে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী। তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে তিন বাহিনীর ফ্লাই পাস্ট মহড়া ও ব্যান্ড–শো অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া তিন দিনব্যাপী বিজয়মেলা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কুচকাওয়াজ, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও ডিসপ্লে হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অ্যাক্রোবেটিক শো, যাত্রাপালা ও বিজয় দিবসের গান পরিবেশিত হবে। সারাদেশে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান নতুন প্রজন্ম পরিবেশন করবে। শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘরসহ সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে। শিশু পার্ক, জাদুঘর ও সিনেমা হল ছাত্রদের জন্য বিনামূল্যে উন্মুক্ত থাকবে।