বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভবিষ্যৎ বিএনপির অন্যতম মূল লক্ষ্য হবে দেশের গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী করা। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্বে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) তিনি দলের রাজনীতি, অতীতের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত মত প্রকাশ করেন।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপির রাজনীতির মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো জনগণ, দেশ ও সার্বভৌমত্ব। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প এবং প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দুটি গুরুত্বপূর্ণ খাতের সূচনা বিএনপির হাত ধরেই হয়েছে। তাঁর ভাষায়, “আমরা গর্ব করি যে গার্মেন্টস শিল্পকে প্রসারিত করেছি এবং প্রবাসীদের বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছি। এ দুটি খাতই আজ দেশের অর্থনীতির প্রধান স্তম্ভ।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের পর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণ করলে কীভাবে দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন। শুধু তা-ই নয়, সে সময় বাংলাদেশ থেকে চাল রপ্তানিও করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি যখন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায়, তখনই বহুদলীয় গণতন্ত্র দেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। “বাকশাল একদলীয় শাসনের দিকে দেশকে ঠেলে দিয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতায় এসে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চা ফিরিয়ে আনে। এটি আমাদের বড় সাফল্য,” যোগ করেন তিনি।
ভবিষ্যৎ রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে বিএনপি সামনে এগোতে চায়। উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে দলকে নতুন রূপে গড়ে তোলাই তাঁর অঙ্গীকার। তাঁর ভাষায়, “আমরা অতীতে যেসব ভালো কাজ করেছি, সেগুলো সামনে রেখে এগিয়ে যেতে চাই। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে আমাদের প্রধান লক্ষ্য হবে গণতন্ত্রের শক্তিশালী বুনিয়াদ গড়ে তোলা।”