নতুন প্রজন্মের নায়িকাদের মধ্যে নিজের আলাদা অবস্থান করে নিয়েছেন ম্রুণাল ঠাকুর। টেলিভিশন থেকে শুরু করে বলিউড এবং দক্ষিণী সিনেমা সবখানেই সমান তালে ছাপ রেখে চলেছেন তিনি। তার ক্যারিয়ারে বৈচিত্র্যময় এই যাত্রাপথ এখন বলিউডের আলোচিত ট্রান্সফরমেশন স্টোরিগুলোর অন্যতম।
২০১৪ সালে ‘ভিটি দান্ডু’ ছবির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে, তবে ২০১৮ সালের ‘লাভ সোনিয়া’ দিয়েই ব্যাপক পরিচিতি পান ম্রুণাল। এরপর ‘সুপার ৩০’, ‘বাটলা হাউস’, ‘তুফান’, ‘জার্সি’সহ বিভিন্ন ছবিতে তার অভিনয় মন জয় করে নেয় দর্শকদের। তবে ২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তেলেগু ছবি ‘সীতা রামাম’ ম্রুণালের ক্যারিয়ারে নতুন মোড় আনে। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেও জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছান এই ছবি দিয়ে।
বর্তমানে ম্রুণালের হাতে রয়েছে একের পর এক বড় বাজেট ও ভিন্নধর্মী ছবি। শিগগিরই মুক্তি পেতে যাচ্ছে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা—অজয় দেবগণের সঙ্গে ‘সন অব সরদার ২’ (২০২৫), যা প্রথম অংশের সিক্যুয়েল হিসেবে আরও বেশি অ্যাকশন ও নাটকীয়তা নিয়ে আসবে; আদিভি শেশের সঙ্গে ‘ডাকইত: অ্যা লাভ স্টোরি’ (২০২৫), যেখানে প্রেম ও অপরাধের জটিল গল্প দেখানো হবে; এবং বরুণ ধাওয়ানের সঙ্গে ডেভিড ধাওয়ানের ‘হাই জোয়ানি তো ইশক হোনা হ্যায়’ (২০২৬), যা রোমান্টিক কমেডি হিসেবে দর্শকদের মন জয় করতে প্রস্তুত।
এছাড়াও রয়েছে ‘যুগান্তর’, ‘তুম হো তো’, ‘পূজা মেরি জান’ এবং একটি রহস্যময় কোডনেম প্রোজেক্ট, যার নাম এবং কাহিনী এখনো গোপনীয়তা বজায় রেখেছে।
ব্যস্ততা সত্ত্বেও ম্রুণাল ঠাকুরের অভিনয় দক্ষতা, ভাষার দখল এবং পর্দায় অভিব্যক্তি তাকে বর্তমানে প্যান-ইন্ডিয়া অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। প্রযোজকরা তার প্রতি ব্যাপক প্রত্যাশা নিয়ে থাকেন।