Ridge Bangla

বন্দি বিনিময়ে সম্মত ইউক্রেন ও রাশিয়া

২০২২ সালের পর প্রথমবারের মতো ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা তুরস্কের ইস্তানবুলে সরাসরি শান্তি আলোচনায় অংশ নেয়। তবে আলোচনার পরও যুদ্ধবিরতির বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। ইউরোপে ১৯৪৫ সালের পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী এই যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এটি কূটনৈতিক প্রচেষ্টার একটি ক্ষুদ্র পদক্ষেপ মাত্র।

বসফরাস উপকূলে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক ওসমানীয় প্রাসাদে অনুষ্ঠিত হয় বৈঠকটি, যা সম্ভব হয়েছে তুরস্কের উদ্যোগ ও যুক্তরাষ্ট্রের চাপের ফলে। আলোচনার সময় উভয়পক্ষের মধ্যে কোনো করমর্দন হয়নি। ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের অনেকে সামরিক পোশাকে উপস্থিত ছিলেন, যা বৈঠকের পরিবেশে ভিন্ন মাত্রা যুক্ত করে।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, “দুটি পথ খোলা—একটি শান্তির, অন্যটি ধ্বংসের।” তবে আলোচনা চলাকালে রাশিয়া নতুন শর্ত জুড়ে দেয়, যার মধ্যে অন্যতম ছিল ইউক্রেনীয় সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি।

যদিও শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি, উভয় পক্ষ ১,০০০ জন করে যুদ্ধবন্দী বিনিময়ের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এটি বৈঠকের একটি মানবিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ইউক্রেন এবং এর পশ্চিমা মিত্ররা আশঙ্কা করছে, রাশিয়া কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে কেবল সময়ক্ষেপণ করছে এবং নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর চেষ্টা করছে।

এমন পরিস্থিতিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধে তার এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে সরাসরি আলোচনা সবচেয়ে কার্যকর হতে পারে। তবে সম্ভাব্য ওই বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না বলেও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

আরো পড়ুন