কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক যুগান্তকারী মোড় নেয়। সেদিনই আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কোটা সংস্কারের খসড়া প্রজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রজ্ঞাপনটি চূড়ান্ত করে দ্রুত প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
এই ইতিবাচক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ৪৮ ঘণ্টার জন্য চলমান শাটডাউন স্থগিত করা হচ্ছে। তবে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, সরকার যদি এই সময়ের মধ্যে চার দফা দাবির বাস্তবায়ন না করে, তবে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
এদিকে দেশজুড়ে চলমান সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে মঙ্গলবার পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়ানো হয় এবং কারফিউও সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত।
গত চার দিনের সহিংসতায় প্রাণহানির সংখ্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা সহ বিভিন্ন শহরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ১৩১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েকশ জন। গ্রেপ্তার হয়েছেন পাঁচ শতাধিক আন্দোলনকারী।
একদিকে সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বললেও, অন্যদিকে আন্দোলনকারীরা তাদের দাবি আদায়ে অনড়। শর্তপূরণ না হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচির দিকে অগ্রসর হবেন বলে জানিয়েছে।
সোমবার রাত পর্যন্ত প্রশাসন ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংলাপ চালু ছিল। দেশজুড়ে চরম উত্তেজনার মধ্যেও এই সংলাপ একটি রাজনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনা তৈরি করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।