মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের জন্য পুনরায় মার্কিন অস্ত্র সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে সাময়িকভাবে এই সহায়তা স্থগিত করেছিল পেন্টাগন। সোমবার (৭ জুলাই) রাতে হোয়াইট হাউজের এক ঘোষণায় এ তথ্য জানানো হয়।
ঘোষণার পর বিষয়টি নিয়ে কিয়েভ থেকেও প্রতিক্রিয়া এসেছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, তারা এখনো যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য পায়নি। তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, ‘‘আমাদের জন্য অস্ত্র সরবরাহে ধারাবাহিকতা, পূর্বানুমেয়তা এবং স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’
বর্তমানে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেন স্পষ্টভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। সামরিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের সহায়তা ইউক্রেনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তবে এই সহায়তা বারবার বন্ধ ও চালু হওয়ায় যুদ্ধ পরিকল্পনা ও সামরিক কৌশল নির্ধারণে বড় বাধার মুখে পড়ছে দেশটি।
বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন নীতিতে এমন অনিশ্চয়তা ইউক্রেনের মনোবলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং এর সুযোগ নিতে পারে রাশিয়া। যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের এই সাময়িক দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে আরও আগ্রাসী পদক্ষেপ নিতে পারে মস্কো।
বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণার পর ইউক্রেন স্বস্তি পেলেও, সহায়তার বাস্তবায়ন ও সময়ানুযায়ী সরবরাহ নিশ্চিত করাটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।