রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা থাকলেও ক্রেমলিন বিষয়টিকে গুরুত্ব কমিয়ে দেখাচ্ছে। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও দুই নেতাকে সরাসরি আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন।
সম্প্রতি আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক এবং হোয়াইট হাউসে সাত ইউরোপীয় নেতা ও জেলেনস্কিকে আমন্ত্রণ জানানোর পর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের চাপ বাড়ছে। তবে ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, এই সংঘাত সমাধান করা কঠিন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, পুতিন হয়তো যুদ্ধ শেষ করতে আগ্রহী নাও হতে পারেন। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “আগামী কয়েক সপ্তাহে আমরা বুঝতে পারব পুতিন সত্যিই সমঝোতায় আসতে চান কিনা।”
ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে জানান, পুতিন–জেলেনস্কির বৈঠক তাঁর উপস্থিতি ছাড়াও হতে পারে, তবে প্রয়োজন হলে তিনি অংশ নিতে প্রস্তুত। যদিও পুতিন সরাসরি আলোচনায় খোলা মনোভাব দেখালেও পরদিন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, বৈঠক হলে তা ধাপে ধাপে, বিশেষজ্ঞ পর্যায় থেকে শুরু করতে হবে।
এদিকে ন্যাটোর সামরিক প্রধানরা ভার্চুয়াল বৈঠক আহ্বান করেছেন। পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের সামরিক প্রধান ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন ইউক্রেনের নিরাপত্তা জোরদার নিয়ে আলোচনা করতে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পুতিন ট্রাম্পকে প্রস্তাব দিয়েছেন যে জেলেনস্কি মস্কোতে আলোচনার জন্য যেতে পারেন। তবে কিয়েভের জন্য এ প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে স্পষ্ট হচ্ছে, শান্তি আলোচনায় এখনো দুই পক্ষের অবস্থান বহুদূরে রয়ে গেছে।