আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারাবাসের দুই বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে দিনটিকে ‘আইয়ামে সিয়াহ’ বা কালো দিবস হিসেবে পালন করছে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। দলটি দেশব্যাপী কঠোর বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিলে বিভিন্ন জেলায় শুরু হয় ব্যাপক ধরপাকড়। নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশজুড়ে একাধিক স্থানে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
লাহোরে পিটিআইয়ের অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। ইসলামাবাদে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পালন করতে না দেওয়ায় সড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। পাঞ্জাব জুড়ে বড় পরিসরের মিছিল ও সমাবেশের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
পিটিআই নেতা আসাদ কায়সার জানান, দলের প্রাদেশিক ইউনিটগুলোকে মিছিল, গণসচেতনতা কর্মসূচি ও প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মিডিয়া সেলের প্রধান শায়ান বশির দাবি করেন, গত কয়েক দিনে প্রায় ২০০টি অভিযান চালিয়ে অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের কিছু সংখ্যককে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
পিটিআই সিনেটর আলি জাফর বলেন, “ইমরান খান আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পাওয়ার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সরকার ও ক্ষমতাশালী মহল তাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়।” তিনি আরও জানান, লাহোর ও আদিয়ালা জেলের বাইরে বড় কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
লাহোর পুলিশের ডিআইজি (অপারেশনস) ফয়সাল কামরান জানান, সড়ক অবরোধের চেষ্টা করায় ৩০ জনের বেশি পিটিআই কর্মীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট রাষ্ট্রীয় উপহার সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় ইমরান খান গ্রেফতার হন এবং বর্তমানে আদিয়ালা কারাগারে সাজা ভোগ করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ৯ মে’র সহিংসতার ঘটনায় সন্ত্রাসবাদ আইনে একাধিক মামলাও চলছে। আজকের বিক্ষোভ তাঁর নির্দেশেই সংগঠিত হয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এই আন্দোলনকে ‘অরাজকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানে ইমরান খানকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতি, যার ফলে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিও জটিল হয়ে উঠছে।