পর্যটকশূন্য সেন্টমার্টিন এখন প্রকৃতির আপন রূপে সেজেছে। প্রবাল দ্বীপটির জীববৈচিত্র্যও যেন ফিরে পেয়েছে প্রাণ। বিস্তীর্ণ বালুরাশি পেরিয়ে সমুদ্রের পানির দেখা পাওয়া এখন এক মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা, যা হাজারো পর্যটকের ভিড়ে একসময় দুর্লভ ছিল।
আগে প্রতিবছর চার মাস পর্যটকদের জন্য খোলা থাকলেও এই মৌসুম থেকে তা সীমিত করে মাত্র দুই মাসের জন্য অনুমতি দিয়েছে সরকার। সে অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী দশ মাস পর্যটক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দুই মাসের এই বন্ধের পর দ্বীপটিতে এসেছে বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন।
সৈকতে নেই প্লাস্টিক বর্জ্যের ছড়াছড়ি। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন প্রবাল, আর সেগুলোর গায়ে জন্ম নিচ্ছে সামুদ্রিক উদ্ভিদ। প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য ফিরে পাচ্ছে নিজের রূপ ও ভারসাম্য।
তবে পর্যটক নিষেধাজ্ঞায় যারা সেন্টমার্টিনে পর্যটনকেন্দ্রিক ব্যবসা করেন, তারা পড়েছেন চরম দুশ্চিন্তায়। মাত্র দুই মাসের আয়ে সামনের দশ মাস কীভাবে চলবেন, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। দিনমজুর ও ভাসমান মানুষদের অবস্থাও অত্যন্ত করুণ।
জেলা প্রশাসন বলছে, পরিবেশ রক্ষা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই স্থানীয় মানুষের জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও জরুরি। এজন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের উপায় খোঁজা হচ্ছে, যদিও এখন পর্যন্ত তেমন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।