নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার ও শব্দ দূষণ রোধে সারা দেশে একযোগে অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) পরিচালিত এ অভিযানে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, খুলনা, বান্দরবানসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৬(ক) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, খুলনা, বান্দরবান এবং ঢাকার পলাশী মোড়, চকবাজার, ইমামগঞ্জ, সোয়ারিঘাট ও লালবাগ এলাকায় ৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
অভিযানে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাতকরণের অভিযোগে দায়ের করা হয় ১২টি মামলা। এসব মামলায় মোট ২৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং জব্দ করা হয় ৪ হাজার ৫৬০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন।
একই দিনে নীলফামারীতে শব্দ দূষণবিরোধী এক অভিযানে দুটি মামলায় ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং জব্দ করা হয় দুটি হাইড্রোলিক হর্ন। অভিযানে সংশ্লিষ্ট চালকদের সতর্ক করা হয়।
নারায়ণগঞ্জে পরিচালিত অন্য একটি অভিযানে পরিবেশবিধি লঙ্ঘনের দায়ে একটি কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত দেশে মোট ১ হাজার ২৯৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। এ সময়ে ৩ হাজার ১৭০টি মামলায় মোট জরিমানা আদায় হয়েছে ২৫ কোটি ৮১ লাখ ৮৮ হাজার ৬০০ টাকা।
এই সময়ে পরিবেশবিধি লঙ্ঘনের দায়ে অধিদপ্তর যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তার মধ্যে রয়েছে—
-
৪৮৪টি ইটভাটার চিমনি গুঁড়িয়ে কার্যক্রম বন্ধ
-
আরও ২১৬টি ইটভাটার বিরুদ্ধে বন্ধের নির্দেশ
-
১৩৩টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস
-
১৬টি নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা
-
১০৮টি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
-
পরিবেশবিরোধী কার্যক্রমের জন্য ২ জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড
এ ছাড়া, একাধিক অভিযানে ১২টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ৯টি ট্রাকভর্তি সীসা ও ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।