পবিত্র হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ১১ হাজার ৬০ জন হজ্বযাত্রী। যাত্রাপথে বড় কোনো জটিলতা না থাকায় হজ্বযাত্রীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, নির্বিঘ্নে আল্লাহর ঘরে পৌঁছাতে পেরে আনন্দিত এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সম্প্রতি হজ্ব ভিসা জটিলতা কিছুটা কমে এসেছে। আগে যেখানে ভিসা না পাওয়া হজ্বযাত্রীর সংখ্যা ছিল অনেক বেশি, তা কমে এখন প্রায় ১৬ হাজারে দাঁড়িয়েছে। হজ্ব অফিসের পরিচালক মো. লোকমান হোসেন জানিয়েছেন, বাকি যাত্রীরাও দ্রুত ভিসা পাবেন বলে তিনি আশাবাদী।
হজ্ব যাত্রার তৃতীয় দিনে ১০টি ফ্লাইটে আরও চার হাজারের বেশি হজ্বযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। রাজধানীর আশকোনা হজ্ব ক্যাম্পে যাত্রার প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে। অনেকেই ইতোমধ্যে ইহরাম পরে হজ্ব পালনের মানসিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। হজ্ব ক্যাম্পের পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা।
গত ২৮ এপ্রিল আশকোনা হজ্ব ক্যাম্পে ২০২৫ সালের হজ্ব ফ্লাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। উদ্বোধনী দিনে রাত ২টা ২০ মিনিটে প্রথম ফ্লাইটটি চার শতাধিক হজ্বযাত্রী নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর হজ্বযাত্রী পরিবহনে তিনটি এয়ারলাইন্স মোট ২৩২টি প্রাক-হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১১৮টি ফ্লাইটে ৪৪,৩০৭ জন, সাউদিয়া ৮০টি ফ্লাইটে ৩২,৭৪০ জন এবং ফ্লাইনাস ৩৪টি ফ্লাইটে ১৩,০৬৫ জন হজ্বযাত্রী পরিবহন করবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭,১০০ জন হজ্বযাত্রী অংশ নিচ্ছেন, যার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫,২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১,৯০০ জন রয়েছেন। প্রাক-হজ ফ্লাইট চলবে ৩১ মে পর্যন্ত এবং ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন থেকে।