যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করবে, তবে তা সরাসরি নয়—পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মাধ্যমে। বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং ইউক্রেনের মধ্যে একটি নতুন চুক্তি হয়েছে। আমরা অস্ত্র পাঠাচ্ছি ন্যাটোকে, আর ন্যাটো এসব অস্ত্রের দাম শতভাগ পরিশোধ করছে।”
যদিও ঠিক কী ধরনের অস্ত্র পাঠানো হবে বা কোন চুক্তির আওতায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি ট্রাম্প। তবে তিনি উল্লেখ করেন, “রাশিয়া নিয়ে সোমবার আমি বড় একটি ঘোষণা দেব।” তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে অগ্রগতির ঘাটতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।
এনবিসি সূত্র বলছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবার প্রথমবারের মতো ‘প্রেসিডেনশিয়াল ড্রডাউন অথরিটি’ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিতে যাচ্ছেন। এই আইনি ক্ষমতার অধীনে প্রেসিডেন্ট জরুরি ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রভাণ্ডার থেকে মিত্রদেশকে সরাসরি অস্ত্র সরবরাহ করতে পারেন।
একটি সূত্র জানায়, এই প্যাকেজের সম্ভাব্য মূল্য প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার। এতে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও মাঝারি পাল্লার আক্রমণাত্মক রকেট অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
গত মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেছিলেন, রুশ আগ্রাসনের মুখে ইউক্রেনের আত্মরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আরও অস্ত্র পাঠাবে। তবে এখন পর্যন্ত তার প্রশাসন শুধু জো বাইডেনের অনুমোদিত অস্ত্র সহায়তাই কার্যকর করেছে। হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগন এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।