ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (৭ জুলাই) ওয়াশিংটনে দুজনের মধ্যে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই ঘোষণা আসে। এটি ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার পর তাদের মধ্যে প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ।
এই সময় নেতানিয়াহু বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণে আমি তাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করছি।”
বৈঠকে ট্রাম্প গাজায় চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে নেতানিয়াহুকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “গাজায় মানবিক বিপর্যয় চলছে। যুদ্ধবিরতি হলেই কেবল মানুষ বাঁচবে এবং সাহায্য পৌঁছাতে পারবে।” উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা জানিয়েছে।
নেতানিয়াহুর এমন মনোনয়নের ঘোষণায় বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা ও সমালোচনা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, এটি নেতানিয়াহুর কৌশলী পদক্ষেপ, যার মাধ্যমে তিনি ট্রাম্পের সমর্থন ধরে রাখতে চান, বিশেষ করে আগামী মার্কিন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং গাজার মানবিক সংকটের প্রেক্ষিতে এই মনোনয়ন অনেকের কাছে ‘রাজনৈতিক চাটুকারিতা’ হিসেবে প্রতিভাত হচ্ছে। তবুও এটি মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক উল্লেখযোগ্য ঘটনাপরম্পরা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।