মডেল, অভিনেত্রী ও ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ প্রতিযোগী নিদ্রা দে নেহা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিল্প-সংস্কৃতি জগতে নিজের হতাশা এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে সরব হয়েছেন। ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “আমি সব সময় শিল্প, সংস্কৃতি, অভিনয়—এসবের সঙ্গেই জড়িত থাকতে চেয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমার অভিনয়ের প্রতি যে ভালোবাসা ছিল তা প্রতিনিয়ত অন্যায় আর অবমূল্যায়নের কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমি আর এই নোংরা পরিবেশের অংশ হতে চাই না।”
নেহা জানান, গত পাঁচ বছর ধরে নিজেকে একজন দক্ষ অভিনেত্রী হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। তবে শিল্পজগতে বারবার অন্যায় ও অবমূল্যায়নের শিকার হওয়ায় এখন আর কোনো কাজেই মন বসাতে পারছেন না। তার ভাষায়, “এই মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আমার আগ্রহ দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখানে মেধা আর পরিশ্রমের সঠিক মূল্য দেওয়া হয় না।”
তিনি আরও বলেন, “যারা পেশাদার, যোগ্য এবং নিষ্ঠাবান—তাদের ঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। জনপ্রিয়তা কম, ফলোয়ার কম বা কোনো সিন্ডিকেটে না থাকলে তারা পিছিয়ে পড়ে। কখনো বলা হয়, তারা নতুন; কখনো আবার প্রযোজকের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক নেই বলেও কাজ থেকে বাদ পড়েন।”
তিনি লেখেন, “আমার হাতে কিছু কাজ রয়েছে। তবে এখন আমি মানসিকভাবে এমন অবস্থায় নেই যে কোনো কিছু নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারব।”
নেহার এই পোস্টের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা। অনেক ভক্তই দাবি করেছেন, সিন্ডিকেটের কারণেই তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নিজের কষ্টের কথা প্রকাশ্যে আনার পেছনে এটাই মূল কারণ।
এ বিষয়ে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ মন্তব্য করে লিখেছেন, “সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, ক্যারিয়ারের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়েই এই বাস্তবতা বুঝতে পেরেছ। এর জন্য লড়াই করো। শুভকামনা রইলো।”
প্রসঙ্গত, মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা নিদ্রা দে নেহা কাজ করেছেন বিজ্ঞাপন, নাটক, ওটিটি এবং সিনেমায়। গত বছর মুক্তি পাওয়া ‘শরতের জবা’ সিনেমায় তার অভিনয় প্রশংসিত হয়। শাকিব খানের পরবর্তী ছবি ‘তাণ্ডব’-এও তার অভিনয়ের কথা ছিল। তবে হঠাৎ করে তাকে ওই সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
