গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (৩০ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই হামলায় জড়িতদের প্রভাব বা অবস্থান যাই হোক না কেন তারা জবাবদিহিতা থেকে রেহাই পাবে না।
প্রেস সচিব শফিকুল আলমের মাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, “নূরের ওপর এই সহিংসতা শুধু ব্যক্তিগত হামলা নয়, এটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি আক্রমণ, যা জাতিকে একত্রিত করেছিল ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার জন্য।” সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে এবং ন্যায়বিচার দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে বাস্তবায়িত হবে। এসময় নুর এবং তার দলের আহত সদস্যদের চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাদের সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে এবং প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নুর ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তিনি তার সাহস ও ত্যাগের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সময়ে সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছে, যাতে জনগণের ম্যান্ডেটের বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা যায়।
সর্বশেষে সরকার পুনর্ব্যক্ত করে যে, জাতীয় নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে এবং তা বিলম্বিত বা পেছানোর যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। জনগণের ইচ্ছাই চূড়ান্ত হবে।