Ridge Bangla

নির্মমভাবে কারখানা শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা, গাজীপুরে গ্রেপ্তার ১

গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী এলাকায় এক পোশাক কারখানায় চুরির সন্দেহে এক তরুণ শ্রমিককে বেঁধে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও আলোচনা সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

নিহত শ্রমিকের নাম হৃদয় (১৯)। তিনি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার শুকতার বাইদ গ্রামের বাসিন্দা এবং কোনাবাড়ী এলাকায় অবস্থিত গ্রিনল্যান্ড লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায় মেকানিক্যাল মিস্ত্রি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার পর তাঁর বড় ভাই লিটন মিয়া কোনাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, তবে এতে নির্দিষ্ট কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং এরই মধ্যে হাসান মাহমুদ নামের একজন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি সন্দেহভাজনদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, হৃদয়কে একটি কক্ষে জানালার পাশে হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে খালি গায়ে বসিয়ে রাখা হয়। নির্যাতনের ফলে তিনি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন, মুখমণ্ডলে রক্ত ঝরছিল এবং তাঁর পোশাকেও রক্তের দাগ ছিল। পরে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে কক্ষ থেকে বাইরে নেওয়া হয়, তখনও তাঁর হাত-পা বাঁধা ছিল।

হৃদয়ের পরিবার জানায়, ডিউটি শেষে বাড়ি না ফেরায় তাঁরা খোঁজ নিতে গিয়ে প্রতিবাদরত শ্রমিকদের কাছ থেকে হৃদয়ের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন। পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা হৃদয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন।

নিহতের ভাই লিটন মিয়ার অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন চালিয়ে তাঁর ভাইকে হত্যা করা হয়েছে এবং ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন জানান, “আমরা ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করছি এবং অপরাধে জড়িত সবাইকে শনাক্তে কাজ করছি।”

এদিকে কারখানার ডিজিএম কামরুল হাসানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত কারখানায় দুই দিনের ছুটি ঘোষণা করা হলেও কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা অনুযায়ী শিগগিরই কারখানাটি চালু হবে।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে:

আরো পড়ুন