নতুনভাবে গঠিত নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চীন আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
চীন সফর সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল ২২ জুন বেইজিং সফরে যায়। ২৭ জুন দেশে ফিরে আসে প্রতিনিধি দলটি। সফরে বিএনপির পক্ষ থেকে এক চীন নীতির প্রতি আমাদের দীর্ঘদিনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “তিস্তা নদী শাসন প্রকল্পে চীনের আগ্রহ রয়েছে। বিএনপি যদি ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসে, তবে প্রকল্পটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে চীন আন্তরিকভাবে কাজ করছে এবং মিয়ানমারকে আলোচনায় রাজি করানোর চেষ্টা করছে।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে চীন সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীনা সরকার। মির্জা ফখরুল বলেন, “এটি আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের একটি ইতিবাচক দিক।”
বিএনপির এ সফরে অংশগ্রহণকারী অন্য নেতারা হলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ ও অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, জহির উদ্দিন স্বপন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার।
বিএনপি মনে করে, চীনের সঙ্গে বাস্তবভিত্তিক ও ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক আগামী দিনের উন্নয়ন ও কূটনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।