ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি, জামায়াত এবং এনসিপির সঙ্গে আগামীকাল রোববার বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি জানান, আগামীকাল প্রধান উপদেষ্টা কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিকেল ৩টায় বিএনপি, সাড়ে ৪টায় জামায়াত এবং সন্ধ্যা ৬টায় এনসিপির সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনসহ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রাধান্য পাবে।
তিনি আরও জানান, আজ শনিবার যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে কয়েকজন উপদেষ্টার পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও স্বরাষ্ট্রবিষয়ক বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার স্পষ্ট। নির্বাচন বিলম্বিত করা বা বানচালের যেকোনো প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করা হবে। জনগণের ইচ্ছাই চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে, কোনো অশুভ শক্তিকে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে দেওয়া হবে না।
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের নিয়মিত পরিসংখ্যান পরীক্ষা করলেই বোঝা যাবে। গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে স্পষ্ট হবে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে কি না। আমাদের মতে, সামনে নির্বাচনের মতো পরিবেশ যথেষ্ট রয়েছে এবং ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
এদিকে, গতকাল শুক্রবার রাতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। তিনি জানান, প্রয়োজনে নুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা সবার জন্য উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যেই তিনি নুরুল হক নুরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং হামলার ঘটনায় গভীর নিন্দা ও সমবেদনা জানিয়েছেন।”