বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দলটি দীর্ঘদিন ধরে মারাত্মক ক্ষতি ও দমন–পীড়ন সহ্য করলেও ভেঙে পড়েনি বরং সত্য, ন্যায়, জবাবদিহি ও আইনের শাসনে বিশ্বাস রেখে আরও শক্তিশালী হয়েছে। মানবাধিকার দিবসে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান অভিযোগ করেন, গত ১৬ বছর দেশে এক অন্ধকার শাসন ছিল, যেখানে বিরোধী রাজনৈতিক মতামতধারীরা প্রতিনিয়ত মিথ্যা মামলা, নির্যাতন, রাতের অভিযানে আতঙ্ক ও নিখোঁজ হওয়ার শঙ্কায় জীবন কাটিয়েছে। তিনি দাবি করেন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, হেফাজতে মৃত্যু ও মিথ্যা মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। এমনকি ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানেও সর্বাধিক রক্ত ঝরেছে বিএনপির ঘরেই।
তিনি বলেন, এই সময়টায় ছাত্র, সাংবাদিক, লেখক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও ভয় ও নিপীড়নের সংস্কৃতির শিকার হয়েছে। ন্যূনতম মানবাধিকার নিরাপত্তা, মতপ্রকাশ, ব্যক্তিস্বাধীনতা সবই হুমকির মুখে ছিল। নিজেকেও বক্তব্য প্রচারের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ তুলে তারেক রহমান বলেন, মিথ্যা মামলা ও কারাবাস সত্ত্বেও তিনি ছিলেন প্রতিরোধের প্রতীক। নিজের পরিবারও রাজনৈতিক আঘাতের শিকার হয়েছে বলে তিনি স্মরণ করেন। তারেক রহমান জানান, দেশের এখন প্রয়োজন প্রতিশোধের রাজনীতি নয়, ঐক্যবদ্ধ ও মানবাধিকারসম্মত ভবিষ্যৎ। ভিন্ন মত যেন আর কারও নিপীড়নের কারণ না হয় এবং কাউকে রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে না হয় এ প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন তিনি।