যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফিকে বিশ্বের শীর্ষ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু মহাকাশ বা বিজ্ঞান–বিষয়ে কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় এ নিয়োগ ঘিরে সমালোচনা ছড়িয়েছে রাজনীতি ও গবেষণা মহলে।
ডাফি বর্তমানে পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পালন করছেন। ফলে ট্রাম্পের ‘এক ব্যক্তি, দুই দায়িত্ব’ নীতির আওতায় তিনি এখন দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। রাজনীতিতে আসার আগে ডাফি ছিলেন রিয়েলিটি শো তারকা। ১৯৯০-এর দশকে এমটিভির ‘দ্য রিয়েল ওয়ার্ল্ড’ শো-তে অংশগ্রহণের সময় তার এক নগ্ন নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, যা সম্প্রতি আবার সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সমালোচকদের মতে, এমন এক ব্যক্তিকে নাসার মতো প্রযুক্তিনির্ভর ও পেশাদার একটি সংস্থার প্রধান করা শুধু অবৈজ্ঞানিক নয়, বরং তা সংস্থার ভাবমূর্তিকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। তারা বলছেন, “জাতীয় পরিবহন নীতির মতো গুরুতর বিষয়ে যিনি দায়িত্ব পালন করছেন, তার এমন অতীত আচরণ দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেয়।”
এদিকে, হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ডাফির প্রশাসনিক দক্ষতা এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আস্থা তাঁকে এই পদে উপযুক্ত করেছে। ট্রাম্প বলেন, “শন পরিবহন খাতে চমৎকার কাজ করছেন, আমি বিশ্বাস করি, তিনি স্পেস এজেন্সির জন্যও দুর্দান্ত নেতা হবেন, যদিও এটা একটি সাময়িক দায়িত্ব।”
ডাফিও দায়িত্ব গ্রহণের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, “এই দায়িত্ব পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি। এখন সময় মহাকাশ দখলে নেওয়ার। চলুন, উৎক্ষেপণ শুরু করি!”
তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, এই নিয়োগ নাসার দীর্ঘদিনের পেশাদার কাঠামো ও অভ্যন্তরীণ নীতিমালার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। এরইমধ্যে বাজেট কাটছাঁটের প্রতিবাদে ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ৯০০ কর্মী পদত্যাগ করেছেন এবং জুলাইয়ের মধ্যে আরও ১,৫০০ কর্মীর স্বেচ্ছা পদত্যাগের সাইন-আপ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে পলিটিকো।
এই পরিস্থিতিতে, ট্রাম্প প্রশাসনের বিজ্ঞান ও মহাকাশ গবেষণা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও নীতিমালাকে ঘিরে শঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে।