ভারতের লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল সম্প্রতি নিজের ব্যক্তিগত জীবনের অন্ধকার সময় নিয়ে মুখ খুলেছেন। ইউটিউবার ও অভিনেত্রী ধনশ্রী বর্মার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন বলে জানিয়েছেন চাহাল।
২০২৫ সালের মার্চে পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন চাহাল। ২০২০ সালে ধনশ্রীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেও কয়েক বছর ধরেই তাদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। ভারতের হয়ে সর্বশেষ ২০২৩ সালে খেলেছিলেন এই লেগ স্পিনার।
ভারতীয় ইউটিউবার রাজ শামানির একটি পডকাস্টে অংশ নিয়ে চাহাল বলেন, “বিচ্ছেদ একদিনের ঘটনা নয়, এটা ছিল দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আমরা বাইরে কিছু প্রকাশ করিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বাভাবিক দম্পতির মতো আচরণ করতাম। কিন্তু ভেতরে আমি ভেঙে পড়ছিলাম। প্রতিদিন দুই ঘণ্টা কাঁদতাম, রাতে মাত্র দুই ঘণ্টা ঘুম হত। ৪০-৪৫ দিন এভাবে চলেছে। ক্রিকেট থেকেও বিরতি চেয়েছিলাম।”
চাহাল আরও বলেন, “আমি আত্মহত্যার কথা ভাবতাম। জীবনের প্রতি বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। বন্ধুকে এসব বলতাম, কিন্তু ভয় পেতাম।”
বিচ্ছেদের সময় অনেকেই তাকে ‘প্রতারক’ বলে দোষারোপ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি কাউকে প্রতারণা করিনি। আমি হলফ করে বলতে পারি, আমি সৎ ও ভদ্র একজন মানুষ। কারও সঙ্গে দেখা গেলেই সমাজ পুরুষকে বিচার করে। আমার দুই বোন আছে, তাই আমি জানি নারীদের সম্মান কিভাবে করতে হয়।”
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন চাহাল ও ধনশ্রী। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর তথ্যমতে, বিচ্ছেদ চলাকালীন ধনশ্রী ভরণপোষণ হিসেবে প্রায় ৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপি পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দুষ্টুমিতে মেতে থাকা, সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসিমুখে ধরা দেওয়া চাহাল যে এতোটা মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে ছিলেন, তা কল্পনাও করতে পারেননি তার ভক্তরা।